skip to main |
skip to sidebar
শ্যামলা শুকনো মুখদু চোখে ক্লান্তি,উস্কোখুস্কো চুল কপালে।কাঁধে ভারি ব্যাগদু হাতে থলি,দ্বিধাগ্রস্থ আঙ্গুল বেল-এ।ভাত-ঘুম ভাঙ্গা রাগকুঞ্চিতো ভুঁরু,দরজা খুলে হুঙ্কার জোরে।জ্বালিয়ে খেলে!কেন গো বাপুআসো বেচতে ভর দুফুরে?মিষ্টি কাকুতি,লিপস্টিক নেলপালিসএকটু দেখাই আপনাকে?নামি কোম্পানি,অপূর্ব সব রঙ,বৌদিকে ভীষন মানাবে।কালিয়ার হাইচেপে, বিরক্ত,ফরেন ছেড়ে এলেবেলে?সপাটে বন্ধ;আরো একটা যোগ'না' সঙ্খ্যার হারে।ভোরের জল মুড়িহজম, টক ঢেকুর,ক্লান্ত পায়ে পাশের দ্বারে।
মেয়ের সব কিছুতেই ভয়।আঁধার জঠর থেকে আলোয়জন্মাতে সংশয়,মেয়ের সব কিছুতেই ভয়।চোখ ফুটলেই লিঙ্গ ভেদেরসঙ্গে পরিচয়,মেয়ের সব কিছুতেই ভয়।হাঁটতে শিখে লক্ষণ রেখাযদি বা লঙ্ঘয়,মেয়ের সব কিছুতেই ভয়।বোবা ঠোঁটে জাগলে ভাষাখণার পরিচয়,মেয়ের সব কিছুতেই ভয়।শিক্ষা পেয়ে শিক্ষা দিলে পুরুষ জাতির সয়?মেয়ের সব কিছুতেই ভয়।বেগার খেটে সংসারেতেঅগৌরবে রয়,মেয়ের সব কিছুতেই ভয়।পুরুষ অহম অটুত রাখতেসত্তার অবক্ষয়;চন্দন সাজে ছবির ফ্রেমেশ্রাদ্ধ মন্ত্র উচ্চারনেসম্মানীত হয়। মেয়ের নেই কোনো আর ভয়!!!
মানুষের পাচনশক্তি বড়ই প্রবল;গালাগালি ধিক্কার অপমানের গরলনিমেষে হজম ডাইজেস্টিভ জুসে গুলে,আপোস-স্থলিতে চালান দেয় ঢেকুর তুলে।কদাচিৎ যদি মনে গায়ে ধরে জ্বালাতৎক্ষনাৎ নিন্দা-চর্চার হাজমোলা।ব্যাস্! নতুন উদ্দমে চলে খানাপিনা,লড়াই সঙ্ঘর্ষ জিৎ মাৎ, এই নিয়ে জীনা।তিক্ত অভিজ্ঞতার সাথে অশ্রু নোনতামিষ্টি মিথ্যাশ্বাস আর টক ঝাল কপটতা;'ওয়েল ব্যালেন্সড ডায়েটের মজুদ উপকরণ,খেয়ে দেয়ে হজম করে পুষ্ট জীবন।
নগ্নতা যখন বে-আব্রুনগ্নত্বে ছিল না লাজ,নগ্নীকরন ঢাকলো পোষাকলজ্জা লিপ্সা তারই ভাঁজ।অ কে ছেঁটে সভ্য হয় সেঢাকলো বসনে গাত্র, সভ্যতারই নিদর্শনেহ্যাঁচকা টানে বিবস্ত্র।
বেঁচে থাকার স্বপ্ন---খরায় প্রথম বৃষ্টির মতদুর্ভিক্ষের দেশে অন্নের মতমরুভূমিতে শ্যামলীর মতবন্ধ্যা নারীর কোলে শিশুর মত।বেঁচে থাকার আদর্শ---বিনা মুখোশে, বিনা মেকাপে,পোশাকি কথায় নয়,নগ্ন সংলাপে;কথা দিয়ে রাখতে, নয় খেলাপেশেখানো না, নিজস্ব আলাপে।বেঁচে থাকার সত্য---বাঁচতে গেলে মুখোশ পরে থাকতে হয়চক্ষু লজ্যায় অন্যের মন রাখতে হয়রাজনীতিতে মাছ দিয়ে শাক ঢাকতে হয়স্বার্থের জন্য পরের কৃতি ছাঁটতে হয়।আমি বেঁচে আছি---স্বপ্ন আর আদর্শের দুই ডানা মুড়েসমাজের এই কালচক্রে ঘুরে ঘুরেকদাচিৎ ডানা মেলে যাই উড়েবাঁচার মত বাঁচি সেই ইচ্ছাপুরে।
দিনে একবার কথা হয় তাঁর সাথে,নয় রোজের পূজায়।তখন ফল, বাতাসা, মন্ত্রে ফাঁকিচোখ ঘড়ির কাঁটায়।ঝাঁটা, খুন্তি বা ইস্তিরি হাতেচর্চা নির্দ্বিধায়।কর্ম বিদ্যা স্বাস্থের খুঁটিনাটিকিছু কী বাদ যায়?কতবার মশলা পোড়ে, জল শুকোয়বলার মগ্নতায়।বক্তা অবশ্য আমি, শ্রোতা নয়স্বার্থপরতায়।আজ হঠাৎ করাঘাত শুনতে পাইসন্দেহের দর্জায়।কথোপকথন এক তরফা কেন?এ ভারি অন্যায়।তিনি কী শুধু মূক নন, বধীরওকান দেন না কথায়?
বলি, একবার বলো, আমি শুনিমন ভরুক কানায়।
ঠিক তখন এক রঙ্গিন প্রজাপতিবসে জানালায়।অপরূপ সুন্দর তার রঙের দ্যুতিচতুর্দিকে ছায়।সৃষ্টির সুর তাল রঙের জলতরঙ্গবারতা পাঠায়।
নির্বাক নিস্তব্ধ প্রতিধ্বনি হয়,শুনলি কী আমায়?
খুঁজছি আমি খুঁজছি দেখোখুঁজছি আপন সত্তাকে,খুঁজতে খুঁজতে মরছি ঘুরে অন্ধ গলির ঘুরপাকে।পাচ্ছি খুঁজে কন্যা মাতাপাচ্ছি খুঁজে বউমাকে,পেলাম খুঁজে স্ত্রী ঠাকুমাভিন্ন রুপে গিন্নীকে।দশটা রুপের ভিড়ের আড়ে হারাই আপন আপনারে। আমার আমি'র সঠিক প্রকাশকোথায় পাবো, বল না রে? খুঁজতে খুঁজতে পাকলো মাথাহোলাম বধির অন্ধ মূক,দেখলাম তাই হিয়ার মাঝেপেলাম তাকে, ঘুচলো দুখ।