Saturday, May 31, 2008

দাম্পত্ত্ব কলহ = প্রেম?


ভোর থেকে হয় শুরু
গর্জন গুরু গুরু,
কর্তা গিন্নি তার সপ্তকে
ঝগড়া করেন শুরু।

(ভোর)
সারারাত ডাকো নাক
যেন জোড়া জয়-ঢাক,
চোখের পাতা এক করে দায়
আমারই রটন লাক!

(সকাল)
আজও ভুললে ঝিঙ্গে
রুই না এনে শিঙ্গে?
ফুলকফি বেমালুন ভুলে
এক গাদা চিচিঙ্গে।

(দুফুর)
এ কী রান্নার ছিরি
নুনকাটা বিচ্ছিরি!
থালা বাটি ছুঁড়ে কর্তা
ধরান রেগে বিড়ি।

(ভর-দুফুর)
বেহাগ সুরে কান্না
এ সংসারে আন্না!
আজই যাবো জাহান্নামে
নিজেই কোরো রান্না।

(সন্ধ্যা)
সন্ধ্যাবেলায় রিমোট
কেন্দ্র করে বিস্ফোট,
সিরিয়াল না খেলা দেখবে
এই নিয়ে ঘনঘোট।

(রাত)
মশারি টাঙ্গাবে কে?
রোজ আসো দেরিতে,
মশার কামড়ে প্রাণ যায় যায়
সব কাজেতেই ‘ইয়ে’।

ষাঠ বছরের লড়াই
শুনছি পাড়ার সবাই,
কিন্ত দাদা বৌদির মত

প্রেমিক আমরা থোরাই?

Friday, May 30, 2008

এক ফালি চাঁদ



ভোরের লালিমা গালে,
সোনালি রোদের অভ্র
ছড়িয়ে চোখের পাতায়,
সাতরঙ্গা প্রথম চুম্বন।

বসন্তের মদিরার নেশায়,
বাঁধ ভাঙ্গা জলোচ্ছাসে
ভেসে যায় সংযমের ভেলা,
মুছে যায় নিষেধের গন্ডি।

মধ্যাহ্ণের দাবানল পুড়িয়ে দিয়ে
চলে যায় অন্যত্র, অন্যখানে।
কুমারি মরুভূমির বুকে
স্তব্ধ সূর্যাস্ত।

ভোর থেকে রাত অমাবশ্যা,
খরকুটো ধরে বাঁচা,
গর্ভের ঐ এক ফালি চাঁদ
এক আকাশ পূর্ণিমা।

Monday, May 19, 2008

প্রত্যাবর্তন


এলো চুলে অপমানের জট,
লুটাচ্ছে লাঞ্ছনার আঁচল।
অত্যাচারের ট্যাটু
শরীর জুড়ে নক্সা।
এক যুগ কান্নার সমূদ্র,
অতলে তলিয়ে যাবার
তীব্র বাসনা।

এক সারি আহ্লাদি ঢেউ
আঁছড়ে পড়ে পায়ের ওপর।
সমাজের প্রতিক হয়ে
চাইলো ক্ষমা।
আলতো আঙ্গুলে ছাড়ালো জট
মুছে দিয়ে নক্সা
খুলে দিলো শেকল।

ফেনিল জলে সমাধি হলো
ভয় দুর্বলতা আপোস।
ভিজে বালুচরে
জোড়া পদচিহ্ন,
বলিষ্ঠ, আত্মবিশ্বাসে ভরা।
ঋণ পরিশোধের অঙ্গিকারে,
সমূদ্রকে পিছনে ফেলে
জনারণ্যের দিকে।

Wednesday, May 14, 2008

স্বপ্নের পশ্মিনা


বারান্দায় রদ্দুরে আরাম-কেদারা,
এক কাপ ধূমায়িতো কফি।
স্বপ্নের পশ্মিনার ঊষ্ণতায়
নিশ্চিন্ত সুখের আমেজ।
বলদে টানা জীবন
স্পেস-শিপে--
এক যুগ এক সেকেন্ড।

রদ্দুরের দিক-পরিবর্তন,
পশ্মিনার ফুটো দিয়ে
শব-শীতল বাস্তবের চাবুক।
নিপুণ হাতে মেরামত,
ছেঁড়া সুতো দিয়ে বুনি
নতুন আরেক,
আবার, আবার, বারবার...।

Sunday, May 4, 2008

হুলোর হুজ্জতি



হলদেটে হাড়গিলে
হাঁসিদের হুলোটা,

হুস হুস করে ফোঁকে
হাফ ভাঙ্গা হুকোটা।

হেঁসেলের হাঁড়িতে
হলুদ মাখানো কৈ,

হাত পুরে হরপায়
হ্যাট হ্যাট হৈ চৈ।

হুট করে ঢুকে যায়
হাবুদের বাগানে,

হাঁস মুখে নিয়ে ছুট
হারানের দোকানে।

হ্যাংলামি থামে না
হুলো দেয় দুধে মুখ,

হালার পো হালা তুই
হর দিনই ছুক ছুক!

হুলো হোয়ে বন্দী
নদীতে বিসর্জন,

পরদিন হাবু দেখে
হুলো আসে হন হন।

হায় হায়!হবে কী যে
ডুবলেও মরে না,

নয় জান বর পেয়ে
হুজ্জতি থামে না।