'সাইবার’' যুগে অসুরদের দুরাচার খুব বেড়েছে। ‘হ্যাকাসুরের’' নেতৃত্ত্বে নের্ট বাসিদের যত্নে সাজানো নগর, বাগান, ছবিঘর, জলসাঘর তছনছ করে দিচ্ছে তারা। ওরা নাকি ‘কোড-সাগর’' মন্থন করে এমন সব গোপনীয় অস্ত্রের সন্ধান পেয়েছে , যা দিয়ে যে কোনো নের্ট বাসির ভোল পালটে, ভাইরাস বোমা নিক্ষেপ করে, সেই অভাগার আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সকলকে এক নিমেষে নিঃশেষ করে ফেলতে পারে।
হ্যাকাসুরের উচ্চাশা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইদানিং নের্ট ছেড়ে ব্লর্গে গিয়ে, তার চ্যালা চামুন্ডা নিয়ে লীলা-খেলা সেখানেও শুরু করেছে। ব্লগবানেরা অসুরদের অত্যাচারে ব্যতিব্যাস্ত।যতক্ষন ওদের গুন্ডামি নের্টে আবদ্ধ ছিল ততক্ষন তাঁরা অতো গা করেননি। অপ্সরাদের নাচ আর সুরা ছেড়ে কেই বা আজকাল অন্যের চর্খায় তেল দেয়? কিন্তু এখন তো সরাসরি ব্লর্গে ঢুকে পড়েছে ব্যাটারা। আর তো নির্বিকার থাকা যায় না!
ব্লগবানেরা আগেই ভগবানেদের গল্প শুনেছেন, তাই কেউ আর এগিয়ে এসে হ্যাকাসুরকে বধ করার জন্য ভলানটিয়ার করলো না। অনেক শলা পরামর্শ করে তাঁরা ঠিক করলেন যে সকলে নিজেদের শক্তি এবং বুদ্ধি দিয়ে এক দেবীর সৃষ্টি করবেন, যিনি একাই পারবেন হ্যাকাসুরের মত দুষ্ট অসুরকে দমন করতে। আজকাল মর্তে নারীরা নাকি একই সঙ্গে ঝাঁটা খুন্তি কলম ইঁদুর, আরও কী সব যেন ব্যবহার করছেন। তাই, হ্যাকাসুরকে যদি কেউ বধ করতে পারে, সে একমাত্র নারী।
পুরো সাড়ে আটানব্বই ঘন্টা সাতচল্লিশ মিনিট আর দুই সেকেন্ড লেগেছিল সেই সর্ব শক্তিমতি দেবীকে সৃষ্টি করতে। তার মধ্যেও কিছু সময় নষ্ট হয়েছিল কফি-ব্রেক আর টি-ব্রেক এ। তাছাড়া ব্লগবানেদের মত বিরোধ, তর্কাতর্কি তো ছিলই।কার শক্তির ধার বেশি, কার বুদ্ধির শান বেশি, এই সব আর কি! যাই হোক, শেষ পর্যন্ত এক অপরূপা দশভূজা দেবীর সৃষ্টি হলো। এই সর্বগুণসম্পন্না শক্তিরূপিনীর নামকরন হলো 'অর্কুটেশ্বরী'।
সাইকেডেলিক লাইট, পপ মিউসিক , চিয়ার-লীডারদের নাচ আর হেভি বেটিং-এর মাঝে চলছে যুদ্ধ। সে কী ভয়ানক লড়াই মা গো, দেখলে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা। অর্কুটেশ্বরী আবার খুব ফ্যাশান-কনসাস; তাই বিরতির সময় তিনি পোশাক বদলে মেক-আপ একটু টাচ আপ করে আসছেন। হ্যাকাসুরও কিছু কম যান না। তিনিও বিরতিতে একবার পোনি টেল বাঁধছেন, একবার ডান কান থেকে দুল খুলে বাঁ কানে পরছেন।
আমি বর্তমান কাল ব্যবহার করলাম কারণ যুদ্ধ এখনও চলছে। ফলাফল কি হবে কেউ বলতে পারছে না। ভারতীয় জ্যোতিষ, ট্যারো, চাইনিজ এস্ট্রলজি প্রত্যেকেরই ভিন্ন ভিন্ন ভবিষ্য-বাণী। দেখা যাক কী হয়!
জয় অর্কুটেশ্বরীর জয়!! হ্যাকাসুর আর তার নন্দি ভৃঙ্গিদের অত্যাচার থেকে আমাদের বাঁচাও মা!!!!!!!!
What I write are figments of my imagination. These are random thoughts which I try to translate into words.My miniscule talent gives me pleasure of an immeasurable magnitude.
ইচ্ছে হলো লিখি আমি
মনের ভাবনাগুলো খাতার পাতায়,
নাম নয় যশ নয়,
অবিমিশ্র আনন্দ মনকে মাতায়।