দলটি গড়ে, নৌকা চড়ে
গেলাম সবে সোঁদরবন,
বাঘের দেখা, ভাগ্যে লেখা
থাকলে পরে দেখবো’খন।
জল থৈ থৈ, বাঘ মামা কৈ?
পূন্নিমে তাই জোয়ার জোর,
পার ডুবেছে, পথ মুছেছে
বনবিবির আজ বন্ধ দোর।
নদীর বুকে, নৌকা দোলে
চাঁদের হাসির বাঁধ ভাঙ্গে,
গল্প গানে, পোলাউ পানে
আনন্দেতে মন রাঙ্গে।
থাকবো বলে, নৌকা খোলে
শয্যা পাতা সারসারি,
আশায় নাচি, বাঘ বাবাজি
সাঁতরে বুঝি দেয় পাড়ি।
বাঘের ডাকে দিক মাতে।
ঘড়ং ঘড়াৎ ফোড়ং ফওড়াৎ
চড়তে চড়তে সপ্তকে,
একটা তো নয়, গোটা চার ছয়
বাঘের কোরাস কয় যাকে।
ভয়টা গিলে, দিলাম জ্বেলে
পাশেই রাখা টর্চ বোতাম,
ওমনি দেখি, ওমা! এ কি!
নাক গর্জন ডাইনে বাম।
গুপ্ত ডাকে, দত্ত ডাকে
নাকের ভাষায় সেন হাঁকে,
গিন্নী যিনি, মধ্যমনি
বেহাগ শোনান সেই ফাঁকে।
থামান থামান! নাকের কামান
বাঘ পালাবে বন ছেড়ে,
বাঘ বিহীনে, সোঁদরবনে
আসবে কারা ঘর ছেড়ে?
শর্মিলা দাশগুপ্ত ২৭ শে মার্চ ২০১১
No comments:
Post a Comment