Monday, December 24, 2007

এরাও যিশু


আজ যিশুর জন্মদিন, ঘরে ঘরে উৎসব,

তার মাঝে জন্ম নিলো কয়েক শত যিশু;


কাউকে আস্তাকুড়ে ফেলে এলো কুমারি মা

কেউ হলো অবাঞ্ছিত,কারণ তারা মেয়ে শিশু!

কেউ জন্মেই হাত বদল টাকার বিনিময়ে,

কেউ ভাড়া হোয়ে ঘোরে রোদে ভিখিরির কাঁখে;

কারোর হাতে পড়লো কড়া বারুদ ঠেসে ঠেসে,

কেউ হোয়ে রেসের “জকি” ঊটকে আঁকড়ে থাকে।

মেরী মায়ের স্নেহের আঁচল ঢাকলো না মাথা,

পেলো না মমতার আলিঙ্গন,জিরোলো না কোলে।

অন্ধকারের পেরেক ঠুকে ভবিষ্যতের হাতে,

চেয়ে দেখো! হাজার যিশু ক্রুশের ‘পরে ঝোলে।

Sunday, December 23, 2007

ওরাই কাজ করে




আমার এক রাঙ্গামামা, জ্ঞ্যনীগুণী লোক,
আজীবন তাঁর শুধু পড়াতেই ঝোঁক।
মামির কাঁধেতে দিয়ে সংসার ভার,
সময়টা কাটে শুধু লিখে পড়ে তাঁর।
মামি বলে,”চলো না গো, ঘুরে আসি পুরি,”
মামা বলে,”না না, কাজ আছে ঝুরি ঝুরি।
তোমার তো খৈ ভাজা, কাজ কোনো নেই,
তাইতো বেড়াবো বলে নাচো ধেই ধেই”।
মামি দিয়ে গালে হাত, বলে,”ও মা সেকি!
লেখা পড়া কাজ শুধু, বাকি সব মেকি?
ভোর পাঁচটার থেকে শুরু হয় বওয়া
সংসার বোঝা, আছে রাঁধা, বাড়া, খাওয়া।
হয়েছো বাজার মুখো? চেনো রুই কই?
পিঁয়াজের কিলো কত? মাংস বা দৈ?
কুচোদের লেখাপড়া থেকে ছবি আঁকা
কিম্বা রাতবিরেতে ডাক্তার ডাকা--!
সামলেছি একা হাতে ছেলেদের বিয়ে,
কেনাকাটা, কেটারিং, তত্ত্ব সাজিয়ে।
তুমি শুধু সেজে গুজে হাতে নিয়ে কোঁচা
গেস্টের আগে খেতে চলে গেলে সোজা;
চিন্তাবিহীন হোয়ে ঢোকো পড়া ঘরে,
টাইমে হাজির চা-টা টেবিলের উপরে--।
দিচ্ছি তোমায় আমি একটা চ্যালেঞ্জ,
একদিন করে দেখো রোল এক্সচেঞ্জ।
আমি হয়ে কেজোবাবু লেখা পড়া করি,
তুমি রাঁধো, বাড়ো সেজে অকাজের ধারি।
“কাজের” সংজ্ঞা যদি বদলাতে পারো,
পুরীতে ঘুরিয়ে এনো দিন দশ বারো।