লাশটাকে কোলে নিয়ে
জেগে থাকে হাই-ওয়ে।
দুধারে দাঁড়িয়ে তার,
সাক্ষিরা সার সার
হতাশায় ক্রোধে কাঁপে থর থর।
চাঁদনি চাদরে ঢাকা
লাশখানা দেখে রাকা
শুধালো সে বারবার,
আহা রে! লাশটা কার?
কে খুনী? কে এমন বর্বর?রাত জাগা পাখী গায়,
বাঘিনীর বাছা হায়!
পিছু পিছু মা’র তার,
খাবে বোলে মাঁস হাড়
ছুটে ভাবে পথখানা হবে পার!
তখনই সে দানো, যার
দুটো আলো চাকা চার,
ছুটে আসে জ্ঞ্যানহীন,
অন্ধ বিবেকহীন,
নিমেষেই কেড়ে নিলো প্রাণ তার।
বাঘিনীর অন্তীম
নিশানা, স্থীর হীম!
হয়তো বা কোনদিন,
ছোট ছোট দুই তিন
বাঘের মা হতো ‘লাশ-বাঘ-মেয়ে’!
শুনে চাঁদ-মুখ ভার,
তারাদের হাহাকার,
মেঘ কাঁদে অঝোরে।
লাশ ছুয়ে লাল ভোরে
বসে থাকে জঙ্গুলে হাই-ওয়ে।
শর্মিলা দাশগুপ্ত ৩০শে মার্চ ২০১১